স্বদেশ ডেস্ক:
রোজার সময়েই বাজারে বেড়ে যায় সবধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৮০ টাকা কেজি। ঈদের পর থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে এই মুরগি বিক্রি হয় ১৭০ টাকা। গতকাল শুক্রবার এই মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। তবে গরিবের পুষ্টি হিসেবে বিবেচিত ডিমের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি কমেছে সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই কমছে। এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও কমেছে। তবে মুরগির দাম কমলেও বিক্রি আগের তুলনায় কম হচ্ছে। ঈদের পর থেকেই মুরগির চাহিদা কম। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ টাকার কমে কোনো সবজিই মিলছে না বাজারে। করোনার বাস্তবতায় কমেছে আয়। এমন পরিস্থিতিতে পণ্য মূল্যবৃদ্ধির চাপে চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারে কম দামের পণ্য খুঁজতে এ বাজার থেকে ও বাজার ছুটে বেড়াচ্ছেন। যেখানেই একটু কম দামের পণ্য মিলছে সেখানেই কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন।
বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা ও মটরশুঁটির ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। বেড়েছে ডালের দাম। দেশী মসুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। খোলা আটা কেজি ৫০ টাকা। বাজারে ডিমের দামও বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। বাজারে সাদা ডিম ডজন ১১৫ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশী মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির গোশত ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বড় রুই দুই কেজি ওজনের প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল ৩২০-৩৫০ টাকা। ছোট রুই (নলা) ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ২০০ টাকা, রুই এক-দেড় কেজি ওজনের প্রতি কেজি ২৩০ টাকায়।
কাতল মাছ তিন-চার কেজি ওজনের প্রতি কেজি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ টাকা, মিরকা দেড় কেজি ওজনের প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শিং মাছ ৩৮০ টাকা আর বড় ইলিশ ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।